১। পুষ্টি লাভ: জীব টিকে থাকার জন্য পুষ্টি লাভ করে। খাদ্য থেকে এরা পুষ্টি লাভ করে। কোনো কোনো জীব নিজেই নিজের খাদ্য তৈরি করে। এরা স্বভোজী। আবার পরভোজী জীব অন্য জীব ভক্ষণ করে পুষ্টি লাভ করে।
২। বৃদ্ধি ও বিকাশ: জীবের বৃদ্ধি ঘটে। প্রতিটি জীব কোষ নামক গাঠনিক একক দিয়ে গঠিত। সময়ের সাথে জৈবিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবের বৃদ্ধি ঘটে ও পরিপূর্ণ জীব হিসেবে বিকাশ লাভ করে।
৩। শক্তির রূপান্তর: জীব তার দেহে উৎপন্ন শক্তির রূপান্তর ঘটায়। যেমন: প্রাণিদেহে উৎপন্ন শক্তি তার দেহের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে।
৪। প্রজনন: জীবের প্রজনন ঘটে। এই প্রক্রিয়ায় জীবের বংশবিস্তার হয়। মানুষ সন্তান সন্ততি উৎপাদনের মাধ্যমে বংশবিস্তার ঘটায়।
৫। পরিবেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া: জীব বাহ্যিক পরিবেশের পরিবর্তনের প্রতি প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।
আমাদের দেহে মশা বসলে আমরা তা মারার জন্য উদগ্রীব হই। অন্ধকার পরিবেশে জন্মানো গাছ আলোর সন্ধান পাবার জন্য আলোর দিকে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৬। অভিযোজন: প্রতিটি জীবের অভিযোজন ক্ষমতা আছে। পরিবেশের পরিবর্তনে টিকে থাকার জন্য জীব হাজার বছরের ব্যবধানে অভিযোজন ক্ষমতা লাভ করে। যেমন, মরুভূমিতে জন্মানো অধিকাংশ গাছের পাতা চ্যাপ্টা ও কাঁটাযুক্ত হয়। উদ্ভিদের এই বৈশিষ্ট্যগুলো এদের পানি সাশ্রয়ে সাহায্য করে। দীর্ঘ অভিযোজনের ফলে উদ্ভিদে এই বৈশিষ্ট্যগুলো সংযোজিত হয়েছে।
উপরে উল্লিখিত এই বৈশিষ্ট্যগুলো সকল জীবে দেখা যায়। পক্ষান্তরে জড় বস্তুতে এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায় না।

| কাজ: দলগত কাজ তোমার পরিবেশ থেকে একটি উদ্ভিদ সংগ্রহ করো। এর মধ্যে জীবের কী কী বৈশিষ্ট্য আছে তা পোস্টার কাগজে লেখ এবং বোর্ডে প্রদর্শন করো। |
Read more